শিক্ষা একটি জাতির আত্ম পরিচয়ের বাহন। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সভ্যতার ইতিহাসে সেই জাতি তত বেশি উন্নত ও সমৃদ্ধ। একটি দেশকে সার্বিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে নিতে শিক্ষা হচ্ছে মৌলিক, শিক্ষা হচ্ছে পূর্বশর্ত। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমাদেরকে সভ্য ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার স¤প্রসারণ ও গুণগত মানোন্নয়ন আমাদের সমাজ, জাতি তথা দেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছে দিতে পারে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে রাজধানী ঢাকার গুলশান থানাধীন শাহ্জাদপুরে প্রতিষ্ঠা করি সোলাইমান কিন্ডারগার্টেন নামের বিদ্যাপীঠটি। ১৯৮৮ ও ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে স্কুলটি সাফল্যের সাথে পরিচালিত হওয়ায় ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এ স্কুলটির প্রতি। সরকার ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে গুলশান থানার কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের স্কুলসমূহের মধ্য হ’তে সর্বপ্রথম সোলাইমান কিন্ডারগার্টেনকে অনুমোদন দেন। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দ হ’তে বিগত বছরগুলোতে মেধাস্থানসহ ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে সরকারি প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্তি, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১০০% প্রথম বিভাগ, এ+ এবং এ গ্রেড অর্জন ও এস.এস.সি. পরীক্ষায় স্টার মার্কস ও প্রথম বিভাগ এবং এ+ প্রাপ্তিসহ কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষাদান ও শিক্ষাগ্রহণ কার্যক্রমকে অধিক ফলপ্রসূ ও সফল করার জন্য শিক্ষকের আন্তরিকতা, শিক্ষার্থীর মনোনিবেশ ও অভিভাবকের সচেতনতার গুরুত্ব অপরিসীম। সকলের ঐকান্তিক ও সার্বিক সহযোগিতা আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সবসময় গতিশীল রাখবে এ প্রত্যাশা আমার একান্ত হৃদয়ের।